আলোচনা সভাঃ বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি
শুধু তিস্তা ও সামরিক সহায়তাই নয়, ভারত-বাংলাদেশের মাঝে অমীমাংসিত বিষয়গুলো সমাধানের প্রচেষ্টা চালাতে হবে। বাংলাদেশ স্বাধীনতায় ভারতের অবদানের কথা স্বরণ করে সম্পর্ক উন্নয়নের তাগিদ দিয়েছেন বিশিষ্ট জনেরা। শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে আইসিএলডিএস (ইন্সটিটিউট অব কনফ্লিক্ট, ল এন্ড ডেভেলপমেন্ট স্ট্যাডিস) এর উদ্যোগে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা একথা বলেন।
সাংবাদিক মিথিলা ফারজানার সঞ্চালনায় এতে মূল উপস্থাপনা পেশ করেন নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুর রশিদ।
আলোচনায় অংশ নিয়ে পিকেএসএফ এর চেয়ারম্যান কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, যেকোন সম্পর্কের হুমমাত্রিকতা রয়েছে। শুধু তিস্তা নিয়ে আমরা এত ব্যস্ত হয়ে পড়েছি যে অন্যান্য সমস্যা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে না। শুল্ক বাহির্ভূত সমস্যা নিয়েও আলোচনা করা উচিত। দেশে ভারতীয় অর্থনৈতিক অঞ্চল হচ্ছে, সেখানে ভারতের বিনিয়োগ আসবে। টেকসই উন্নয়নে জোর দিতে হবে। স্থল সীমানা সমাধান হয়েছে, জল সীমানা নিয়ে সমস্যা সমাধান হয়েছে। রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের কারণে তিস্তা আটকে আছে। তবে সম্পর্কের বহুমাত্রিকতার অনেক বিষয় রয়েছে। একটি বিষয়ে আটকে থাকবে না।
সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দীন চৌধুরী মানিক বলেন, ভারতের কাছ থেকে বাংলাদেশের প্রাপ্তির পাল্লাটাই ভারি। আলোচনার মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যকার অনেক সমস্যা সমাধান হয়েছে। যেমন ছিটমহল সমস্যা। তিস্তা চুক্তির বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সদিচ্ছার অভাব নেই। রাজ্য সরকার বাধা দিচ্ছে। তারপরও আশা করছি তিস্তা সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।
Source: দৈনিক ইত্তেফাক। ০১ এপ্রিল, ২০১৭ ইং। http://www.ittefaq.com.bd/capital/2017/04/01/109649.html