লেখকঃ কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ
(১৫ আগস্ট ২০২৩, দৈনিক বাংলা)
স্বাধীন বাংলাদেশের যাত্রা যখন শুরু হয়, সেই সময় বাংলাদেশের অর্থনীতিসহ সবকিছুই ছিল বিধ্বস্ত। দেশের অবকাঠামো ছিল ধ্বংসপ্রাপ্ত, কৃষি খাত স্থবির ও শিল্পকারখানা বন্ধ। উল্লেখ্য, শিল্পের ক্ষেত্রে বেশির ভাগ শিল্পের মালিকরা ছিল পাকিস্তানি, যারা যুদ্ধকালীন অথবা বিজয়ের প্রাক্কালে এ দেশ ছেড়ে চলে যায়। বাংলাদেশি মালিকানাধীন শিল্পকারখানাগুলোও যুদ্ধের কারণে বন্ধ ছিল। পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রশাসনিকব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পড়েছিল। একই সঙ্গে দেশের উন্নয়নের প্রয়োজনে ব্যয় করার মতো অর্থ ব্যাংকে ছিল না। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল শূন্যের কোঠায়। সেই বিধ্বস্ত অবস্থা থেকে দেশের উন্নয়নের জন্য কার্যকর এবং সঠিক পরিকল্পনার খুবই প্রয়োজন ছিল।
বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব গ্রহণের পর দেশ পুনর্গঠনের কাজ শুরু করেন। তাঁর উদ্দেশ্য ছিল যত দ্রুত সম্ভব অর্থনৈতিকভাবে দেশকে ঘুরে দাঁড়ানোর ব্যবস্থা করা। সেই সময় দেশের দারিদ্র্য পরিস্থিতি ছিল ভয়াবহ। শরণার্থী হিসেবে ভারতে গমনকারী প্রায় এক কোটি মানুষ বিপন্ন অবস্থায় দেশে ফিরে আসে। তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করাও সরকারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। যুদ্ধকালীন দেশের অভ্যন্তরে অসংখ্য মানুষের আর্থিক অবস্থাও ভেঙে পড়েছিল। রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব গ্রহণের পর বঙ্গবন্ধুর প্রথম কাজই ছিল এই অবস্থা থেকে দেশ ও দেশের মানুষের উত্তরণ ঘটানো। অবশ্যই দেশ পরিচালনার জন্য একটি আইনি কাঠামো জরুরি ছিল তাই তিনি সংবিধান রচনায় মনোযোগ দেন এবং বিজয়ের মাত্র ৯ মাসের মধ্যে একটি জনকেন্দ্রিক দূরদর্শী সংবিধান জাতিকে উপহার দেন। প্রণীত সংবিধানে রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য ৪টি মৌল নীতিনির্ধারণ করা হয়। এগুলো হচ্ছে: (১) বাঙালি জাতীয়তাবাদ, (২) গণতন্ত্র, (৩) সমাজতন্ত্র ও (৪) ধর্ম নিরপেক্ষতা বা অসাম্প্রদায়িকতা। এই ৪টি মৌল নীতিকে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলভিত্তি হিসেবে চিহ্নিত করা হলো। তিনি প্রশাসনিকব্যবস্থা, নীতিনির্ধারণী ব্যবস্থা এবং অন্যান্য প্রাতিষ্ঠানিকব্যবস্থা গড়ে তোলার দিকে নজর দিলেন এবং একই সঙ্গে দেশের অবকাঠামো পুনর্বাসন এবং অর্থনৈতিক পুনর্গঠনে হাত দিলেন। অবকাঠামোগত উন্নয়ন, কৃষি উন্নয়ন, দারিদ্র্য নিরসন, ব্যাপকভিত্তিক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা, এসব বিষয়ে অগ্রাধিকার দেয়া হলো। অর্থাৎ সাধারণ মানুষের পুনর্বাসন ও উন্নয়নে জোর দেয়া হলো। পাশাপাশি অবশ্য অন্যান্য খাতের পুনর্বাসন ও উন্নয়নে পদক্ষেপ নেয়া হলো। ১৯৭০ সালের নির্বাচনী ইস্তেহারের ঘোষণা অনুসারে তিনি বড় বড় শিল্পকারখানা, ব্যাংক ও বিমা রাষ্ট্রীয়করণ করেন। তবে কুটির ও অতিক্ষুদ্র শিল্প ও ব্যবসায় ব্যক্তি খাতে সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেয়া হয়। তবে এসব কর্মকাণ্ড হতে হবে পরিকল্পিত অন্যথায় অগ্রগতি সমন্বিত ও সবার জন্য, বিশেষ করে পিছিয়েপড়া মানুষের জন্য যথাযথ সুফল বয়ে আনবে না। তাই তিনি পরিকল্পিত উন্নয়নের ব্যবস্থা করার লক্ষ্যে পরিকল্পনা কমিশন গঠন করে একটি পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা তৈরির দায়িত্ব দিলেন।
পরিকল্পনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যানকে মন্ত্রীর পদমর্যাদা দেয়া হয়। সদস্যদের প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা দেয়া হয়। ডেপুটি চেয়ারম্যান ছিলেন অধ্যাপক নুরুল ইসলাম আর সদস্য ছিলেন অধ্যাপক মোশাররফ হোসেন, অধ্যাপক রেহমান সোবহান এবং অধ্যাপক আনিসুর রহমান। গঠিত কমিশনকে দায়িত্ব দেয়া হলো সংবিধানে বিধৃত চার মূলনীতির আলোকে খুব দ্রুততার সঙ্গে পাঁচ বছর মেয়াদি একটি উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে। প্লানিং কমিশনে যাদের দায়িত্ব দেয়া হলো তারা সবাই দেশের খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদ এবং কোনো না কোনোভাবে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। প্লানিং কমিশনের সদস্যরা বঙ্গবন্ধুর চিন্তা-ভাবনা সম্পর্কে অনেকটাই অবহিত ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন এবং চাওয়া তাদের জানা ছিল। ফলে তাদের পক্ষে বঙ্গবন্ধুর চাওয়ার মতো পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজটি সহজ হয়। আমাকেও কোনো কোনো কাজে সম্পৃক্ত করা হয়েছিল। আমি মুক্তিযুদ্ধ থেকে ফিরে বিআইডিএসে কর্মরত ছিলাম।
বঙ্গবন্ধুর উন্নয়ন দর্শনের মূল ভিত ছিল এই যে উন্নয়ন হতে হবে মানবকেন্দ্রিক। অর্থাৎ উন্নয়ন হতে হবে দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে উপলক্ষ করে। তবে বিশেষ নজর দিতে হবে দুঃখী মানুষের দিকে। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে হবে। স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছিল, সবার সব মানবাধিকার নিশ্চিত, বৈষম্যহীন সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা এবং সব মানুষের মানব-মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করা হবে, সেই কথাও তিনি সংশ্লিষ্ট সবাইকে স্মরণ করিয়ে দেন। চূড়ান্ত পর্যায়ে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করাই ছিল বঙ্গবন্ধুর মূল উদ্দেশ্য। কিন্তু সেই সময়ে দেশে বিরাজমান বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কাজটি খুব একটা সহজ ছিল না। তৎকালীন সমাজব্যবস্থা, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক বাস্তবতা যে স্তরে ছিল সেই অবস্থায় সরাসরি সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা কঠিন ছিল, বলা চলে অসম্ভবই ছিল। তাই জোর দেয়া হয় সমাজতন্ত্রের পথ রচনা করার দিকে।
উন্নয়ন পরিকল্পনা রচনা করতে একদিকে যেমন রাজনৈতিক লক্ষ্য ও দিকনির্দেশনা প্রয়োজন তেমনি তথ্য ও বাস্তবতা বিশ্লেষণের প্রয়োজন। রাজনৈতিক চাহিদা বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে বিশদভাবে পাওয়া যায়। তবে তথ্য ও বাস্তবতার বিশ্লেষণে নানা রকম ঘাটতি ছিল। পরিকল্পনা কমিশন এ ক্ষেত্রে সম্ভাব্য সব পদক্ষেপ গ্রহণ করে। যেহেতু পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা দ্রুত তৈরি করতে হবে, তাই দীর্ঘমেয়াদি কোনো গবেষণা কাজ হাতে নেয়া সম্ভব ছিল না। কেননা, তাতে দীর্ঘ সময় ব্যয় করতে হতো। আর সেরকম সময় হাতে ছিল না। তবে অবশ্যই পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনে নতুন তথ্য ও বিশ্লেষণপ্রাপ্তি সাপেক্ষে পরিবর্তন করার সুযোগ সব সময় থাকে। তাই নজর দেয়া হয় যে সব তথ্য জোগাড় করা সম্ভব সেগুলো সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করার দিকে। এভাবেই একটি গ্রহণযোগ্য তথ্য ও বিশ্লেষণ ভিত্তি দাঁড় করিয়ে সেই ভিত্তিতে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দিকনির্দেশনা অনুযায়ী একটি পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা দেড় বছরের মধ্যে তৈরি করা হয়। দলিলটি বিশ্লেষণ, বিন্যাস এবং প্রাপ্ত রাজনৈতিক দিকনির্দেশনা অনুযায়ী দেশের বিধ্বস্ত আর্থসামাজিক অবস্থা থেকে উত্তরণ এবং এগিয়ে চলার কর্মপন্থা ও কর্মসূচি তুলে ধরা হয়। দলিলটি সুলিখিত ও সুবিন্যস্ত।
সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে, সেই লক্ষ্য সামনে রেখে একটি গুরুত্বপূর্ণ্ দিকে বিশেষ নজর দেয়া হয়। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, সোনার বাংলা গড়তে হলে সোনার মানুষ চাই। বস্তুত সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য চিন্তা-চেতনা ও মননে সেই দর্শন ধারণ করে এমন প্রয়োজনীয় সংখ্যক ক্যাডারের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু তখন সেরকম ক্যাডারের সংখ্যা ছিল নগণ্য। তাই প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা এমন ক্যাডার গড়ে তোলার দিকে বিশেষ গুরুত্ব দেয় ও দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
এই প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার আকার ছিল ৪ হাজার ৪৫৫ কোটি টাকা এবং অ-আর্থিক বিনিয়োগ ধরা হয়েছিল আরও ৫৮৫ কোটি টাকা। পাকিস্তান আমলে ১৯৬৫-৭০ সালভিত্তিক তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের জন্য পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার আকার থেকে ১৫ শতাংশের মতো বেশি ধরা হয় বিরাজমান বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে। অবশ্যই দলিলটি সমাজতন্ত্রে উত্তরণকে সামনে রেখে তৈরি করা হয়। প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাকালে মোট ব্যয়ের ৪০ শতাংশ বৈদেশিক সাহায্য থেকে আসবে বলে ধরা হয়েছিল। তবে এ কথা জোর দিয়ে বলা হয়েছিল যে, ক্রমান্বয়ে অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণ বাড়ানো হবে এবং বিদেশ-নির্ভরতা কমিয়ে আনা হবে এবং সেভাবে স্বনির্ভরতার দিকে দেশ এগিয়ে চলবে। সেই লক্ষ্যে পরিকল্পনা দলিলে দিকনির্দেশনা ও পদক্ষেপ অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সমাজতন্ত্রের পথে এগিয়ে চলার অভীষ্টের পরিপ্রেক্ষিতে পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার মোট ব্যয়ের ৮৯ শতাংশ রাষ্ট্রীয় খাতে বরাদ্দ ছিল।
একদিকে প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা রচিত হতে থাকল কিন্তু বঙ্গবন্ধু তাঁর মানুষকেন্দ্রিক উন্নয়ন দর্শনের আলোকে দেশটির বিধ্বস্ত আর্থসামাজিক অবস্থার পুনর্গঠন ও জাগরণ-প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করলেন।
অবকাঠামো পুনর্বাসন ও উন্নয়নে অগ্রাধিকার দিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। যে অসংখ্য রাস্তাঘাট, সেতু, কালভার্ট যুদ্ধের সময় বিধ্বস্ত হয়েছিল সেগুলোর দ্রুত পুনর্বাসন করা হয়। দুই-আড়াই বছরের মধ্যে সড়ক, নৌ ও রেল যোগাযোগব্যবস্থায় উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন করা হয়।
লক্ষণীয়, কৃষি খাতের জন্য বঙ্গবন্ধু নানা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন। জমির সর্বোচ্চ সিলিং পরিবারপ্রতি ১০০ বিঘা নির্ধারণ করে দেয়া হয়। একই সঙ্গে ২৫ বিঘা পর্যন্ত জমির খাজনা মওকুফ করা হয়। পাকিস্তান আমলে কৃষকদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত প্রায় ১০ লাখ সার্টিফিকেট মামলা প্রত্যাহার করা হয়। কৃষকদের নতুন করে ঋণ দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়। টেস্ট রিলিফ ১৬ কোটি এবং তাকাবি ঋণ ১০ কোটি টাকা দেয়া হয়। আরও ৫ কোটি টাকা দেয়া হয় সমবায় ঋণ হিসেবে। বীজ সরবরাহ ও কৃষি যান্ত্রিকরণেও পদক্ষেপ নেয়া হয়।
প্রায় সব বড় শিল্প, ব্যাংক ও বিমা রাষ্ট্রীয়করণ করা হয়। সমাজতান্ত্রিক উন্নয়নের একটি করণীয় হিসেবেই। পাকিস্তানি মালিকাধীন যে প্রতিষ্ঠাগুলো তারা ফেলে চলে গিয়েছিল সেগুলো তো বটেই। বাঙালি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোও রাষ্ট্রীয়করণ করা হয়। কুটির ও অতিক্ষুদ্র শিল্প ও ব্যবসায় ব্যক্তিমালিকানায় সম্প্রসারণে সহযোগিতা করা হয়। এ ছাড়া পাট ও পাটজাত দ্রব্যাদির রপ্তানি পুনর্বাসন ও সম্প্রসারণে জোরালো পদক্ষেপ নেয়া হয়।
আন্তজার্তিক পরিমণ্ডলে অন্যান্য দেশের স্বীকৃতি আদায়ে বঙ্গবন্ধু দ্রুত অগ্রগতি সাধন করেন। মাত্র সাড়ে তিন বছরে তিনি শতাধিক রাষ্ট্রের স্বীকৃতি অর্জন করেন। তা সম্ভব হয়েছিল প্রধানত তাঁর ক্যারিসমা, ব্যক্তিত্ব ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতার ফলে।
তিনি ১৯৭৫ সালের প্রথম দিকে সবাইকে ন্যায্যভাবে অন্তর্ভুক্ত করে উন্নয়ন-প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে সারা দেশে সমবায়ভিত্তিক উন্নয়ন সাধনের পরিকল্পনা ঘোষণা করেন। প্রত্যেক গ্রামে একটি করে সমবায় গঠন করা হবে। গ্রামের সবাইকে এতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। ঘোষণা করা হয় কারও জমি কেঁড়ে নেয়া হবে না, যারা জমির মালিক তারা আয় থেকে একটি অংশ পাবেন। যারা জমিতে চাষাবাদ করবেন তারা আয়ের একটি অংশ পাবেন। আর রাষ্ট্র একটি অংশ পাবে। এসবই হবে সমবায়ের মাধ্যমে। সবার অধিকার নিশ্চিত করে গ্রামের সার্বিক উন্নয়নই ছিল লক্ষ্য। এটা ছিল এক যুগান্তকারী পরিকল্পনা। কিন্তু এর বাস্তবায়ন পদ্ধতি নির্ধারণ করে এই লক্ষ্য বাস্তবে রূপ দেয়ার সময় তিনি পাননি।
সেই সময় দেশে দারিদ্র্যের হার ছিল ৮০ শতাংশের মতো। তাই প্রতিটি কর্মসূচিকে দারিদ্র্য বিমোচনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হয়। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন দেশে অতি ধনি কেউ হবে না এবং অনেক পিছিয়েও কেউ থাকবে না। দেশে সাম্য প্রতিষ্ঠা করা হবে, ন্যায্যতা নিশ্চিত করা হবে, দেশ উন্নতির পথে এগিয়ে চলবে এবং প্রত্যেক মানুষ মানব-মর্যাদায় জীবনযাপন করবে। পরিকল্পিত পথ-পরিক্রমায় সমাজতন্ত্রের লক্ষ্য অর্জন নিশ্চিত করা হবে।
ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে তাঁর জনকল্যাণে মহৎ কর্ম-পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করার সময় দেয়নি। আমি তাঁর স্মৃতির উদ্দেশ্যে গভীর শ্রদ্ধা জানাই এবং তাঁর মাগফিরাত কামনা করি।
Source: https://www.dainikbangla.com.bd/opinion/28811/1692073965