প্রকাশ: ১১ মে ২০২০, দৈনিক সমকাল। লেখকঃ কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ।
বিশ্বজুড়ে বিগত দশকগুলোতে আয়, প্রযুক্তি, বিনিয়োগ ও প্রবৃদ্ধি ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। উন্নয়নশীল দেশগুলো উন্নত দেশগুলোর পদাঙ্ক অনুসরণ করে একই ধরনের উন্নয়ন অর্জনে সচেষ্ট হয়। উপদেশ এবং কারিগরি ও ঋণ সহায়তা সাধারণত পাওয়া যায় উন্নত দেশগুলো থেকে, সরাসরি বা আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলোর মাধ্যমে। নব্বই দশকের গোড়ায় দ্বিমেরু বিশ্বের অবসানে উন্নয়ন অর্জনের পথ হয়ে যায় প্রায় সব দেশের জন্য একমাত্রিক- পুঁজিবাদ, উদার বাজার ব্যবস্থা, নব্য উদারতাবাদ। সময় সময় পৃথিবীর কোথাও কোথাও ভিন্ন চিন্তার উদ্রেক হলেও তা অগ্রসর হয়নি। এমনকি জাতিসংঘ গৃহীত সাম্য-মানবস্বাধীনতা-মানবাধিকার-মানবমর্যাদা ভিত্তিক টেকসই উন্নয়ন বাস্তবায়নের জন্য এজেন্ডা-২০৩০ (টেকসই উন্নয়ন কর্মসূচি নামে পরিচিত) নব্য উদারতাবাদ কাঠামোয়ই বাস্তবায়ন করার কথা। কিন্তু এই দুই প্রক্রিয়া পাশাপাশি চলা সম্ভব নয় বলেই আমার বিবেচনা বলে। একটি কারণ যদি বলি, প্রচলিত ব্যবস্থা বৈষম্য অভূতপূর্বভাবে বাড়িয়ে চলেছে, অন্যদিকে টেকসই উন্নয়নে বৈষম্য দূর করা একটি মৌলিক বিষয়। নব্য উদারতাবাদের ধারক ও বাহকরা সেটি করতে দেবেন, সেই চিন্তা অলীক বলে আমার মনে হয়। ব্যবস্থা বদলের মাধ্যমেই এদের হটানো যেতে পারে।
সাধারণ মানুষের জীবনমান ও দারিদ্র্যের বহুমাত্রিকতা আলোচনায় থাকলেও নীতিনির্ধারণ ও কর্মসূচি প্রণয়নে উন্নয়ন ও দারিদ্র্যের পরিমাপ আয়ভিত্তিক। উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে যেগুলোর মাথাপিছু আয় ও জাতীয় উৎপাদনের প্রবৃদ্ধির হার বেশি, সেগুলো প্রশংসিত হয়। সব দেশই মাথাপিছু আয় ও প্রবৃদ্ধির হার বাড়াতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তাদের প্রাপ্তসম্পদ, মেধা, শ্রম ও সময় ব্যয় করে থাকে। অর্জিত উন্নয়নের বণ্টন উল্লেখযোগ্যভাবে গুরুত্বহীন থেকে যায়, অর্থাৎ কে কতটা পাচ্ছে বা পাচ্ছে না সেটি তেমন বিবেচ্য নয়। অবশ্য গোষ্ঠী হিসেবে দারিদ্র্য কবলিত মানুষের হার কমানও উন্নতির একটি অনুষঙ্গ হিসেবে বিবেচিত থাকায় সে বিষয়ে নজর দেওয়া হয়। তবে দারিদ্র্য পরিমাপ করা হয় মূলত মাথাপিছু আয় বিবেচনায় নিয়ে। জীবনমান উন্নয়নের বিষয় সরাসরি বিবেচ্য বিষয় নয়।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে যে কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা লাভ করেছিল সেই ধারণা নব্য উদারতাবাদের আগ্রাসনে পরবর্তী সময়ে দুর্বল হতে থাকে। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে সেই জনকল্যাণ-অভীষ্ট পথপরিক্রমা-মডেল প্রতিষ্ঠাই হয়নি।
মানব উন্নয়ন বিষয়টি অবশ্য আলোচনায় থেকেছে এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তা কতটুকু অর্জিত হয়েছে সেটি জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি প্রতি বছর মূল্যায়ন করে আসছে। তবে উন্নয়ন পরিকল্পনা ও কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে অর্থনৈতিক ক্রিয়াকর্ম মূল বিবেচ্য থেকে যায়, মানব উন্নয়ন প্রধানত অর্থনৈতিক উন্নয়নের ফলে ঘটে বলে ধরা হয়। কাজেই বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও আয় বৃদ্ধির প্রতিযোগিতা ক্রমশ জোরদার হতে থাকে, আয় ও সম্পদ বৈষম্য বাড়তে থাকে।
নব্য উদারতাবাদের জয়জয়কার চলছে এবং বিশ্ব পরিমণ্ডল ও প্রত্যেক দেশ চরমভাবে বৈষম্যপূর্ণ, এমন এক সময়ে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটে। করোনা-ভীতি মানুষের জীবন, অর্থনীতি ও সমাজ লণ্ডভণ্ড করে দিচ্ছে। করোনা থেকে বাঁচার জন্য ব্যাপক লকডাউন সংশ্নিষ্ট দেশের অর্থনীতিতে ধস নামায়। ফলে সংক্রমণ থেকে জীবন বাঁচানোর পাশাপাশি খাদ্যাভাব থেকে জীবন বাঁচানোর বিষয়ও সামনে চলে আসে। ফলে পর্যুদস্ত এসব মানুষকে ত্রাণ দিয়ে বাঁচানোর ব্যাপক কর্মযজ্ঞ হাতে নেওয়া হয়। সংক্রমণ ও খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা থেকে মানুষকে উদ্ধার করার জন্য অর্থসংস্থান করার প্রয়োজন হয়।
অবশ্যম্ভাবীভাবে সামনে আসে বিধ্বস্ত অর্থনীতি চালু করে এর পুনর্জাগরণের ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়। দেখা যায় কোনো কোনো দেশে এই মহামারি যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণে আসার আগে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালু করা হচ্ছে। এর মধ্যে বাংলাদেশও আছে। এর ফল কী দাঁড়ায় পরবর্তী সময়ে দেখা যাবে।
এভাবে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালু করার ফলে কি কভিড-১৯ থেকে মানুষের জীবন রক্ষার বিষয়টি অবমূল্যায়িত হচ্ছে? একটি দিক হচ্ছে- অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালু না হলে দেশের অর্থনীতিতে চাপ বাড়তেই থাকবে এবং পুনরুদ্ধার আরও কঠিন হতে থাকবে এবং ভুক্তভোগী সহায়তা-নির্ভর মানুষ অসংখ্য থাকবেন যখন সহায়তার উৎসগুলো সংকুচিত হতে থাকবে। এ কথার মধ্যে সত্যতা আছে, কিন্তু জীবনের হুমকি বেড়ে যাচ্ছে তাও সত্য। কাজেই ব্যাপারটা এমন হতে পারে যে, ধনী ও ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্পের মালিকদের অব্যাহত ক্ষতি সরকার বেশি দিন উপেক্ষা করতে পারে না। কোথাও কোথাও এসব প্রভাবশালী মানুষ রাজনীতিতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত। তাই কভিড-১৯ উত্তরকালে সেই সম্পদ-আয়-প্রবৃদ্ধিই অর্থনৈতিক পুনর্গঠনে চালিকা শক্তি এবং ধনী ও ক্ষমতাবান ক্ষুদ্র গোষ্ঠীর স্বার্থসিদ্ধির অর্থনীতি চলতে থাকবে। নব্য উদারতাবাদ এগিয়ে চলবে, সাধারণ মানুষের অবস্থা তথৈবচ।
আবার হতে পারে- মহামারির ওপারে অর্থনৈতিক পুনর্গঠন ও পুনর্জাগরণ মানবকেন্দ্রিক হবে, মানবাধিকার ও মানব মর্যাদা সামনে আসবে। নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডেন বলেছেন প্রথাগত উৎপাদনশীলতা ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নয়, মানুষের জীবনমান উন্নয়নে অর্থ ব্যয় করা উচিত। তিনি তার দেশের অগ্রাধিকার হিসেবে যেসব বিষয় চিহ্নিত করেছেন তার মধ্যে রয়েছে- ক্রমবর্ধমান বৈষম্য হ্রাস, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলা এবং তথ্যপ্রযুক্তি থেকে লাভবান হওয়া। সাম্যভিত্তিক অংশীদারিত্বমূলক কাঠামোয় অর্থনৈতিক বিন্যাসের কথাও তিনি বলছেন। প্রসঙ্গত, নিউজিল্যান্ড কভিড-১৯ মহামারি নিয়ন্ত্রণে অগ্রগামী দেশ; মাত্র ২০ জন মারা গেছেন এবং বর্তমানে সংক্রমণ প্রায় শূন্যের কোঠায়।
বৈষম্যপূর্ণ সমাজ ও বিপর্যস্ত প্রাকৃতিক পরিবেশের তুলনায় ভারসাম্যপূর্ণ প্রাকৃতিক পরিবেশে সাম্যভিত্তিক জীবন যাপনে সব মানুষের ব্যক্তিগত জীবনমান ও দেশের সামষ্টিক সন্তুষ্টি অনেক উঁচু পর্যায়ের হওয়া উচিত। কল্যাণধর্মী আবহে এরকম ঘটবে বলে যথেষ্ট জোর দিয়ে বলা যেতে পারে। মানবকেন্দ্রিক কল্যাণধর্মী উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে, ত্বরান্বিতও হবে; তবে তা হবে উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় সবার কার্যকর অংশগ্রহণ এবং অর্জিত সুফলের ন্যায্য বণ্টন সাপেক্ষে।
বর্তমান বিশ্বে সম্পদের ৯৯ শতাংশের মালিক পৃথিবীর সর্বোচ্চ ধনী এক শতাংশ। বাকি অর্ধেক দ্বারা অন্য ৯৯ শতাংশকে চলতে হচ্ছে। আবার এদের মধ্যেও সম্পদ-বিভাজন ব্যাপক বৈষম্যমূলক। বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশের মতো মানুষ দারিদ্র্য এবং স্বল্প বা নিম্ন মধ্য আয়ের নানা টানাপোড়েনে জীবন যাপন করছে। বিশ্ব জনসংখ্যার প্রতি নয় বা দশজনের মধ্যে একজন অতিদরিদ্র, নিদারুণ বঞ্চিত।
এমন পরিস্থিতিতে করোনাভাইরাস এসে বুঝিয়ে দিয়েছে মানুষের জীবন কত অসহায় হতে পারে। সব মানুষ করোনার কাছে সমান। মানুষ হিসেবে সব মানুষ সমান- এ কথা প্রায় বিস্মৃত হয়ে গিয়ছিল ধনিক শ্রেণি। করোনা যেন একটি জবরদস্ত ধাক্কা দিয়ে বিষয়টি মনে করিয়ে দিল। প্রশ্ন হচ্ছে- এখান থেকে সবাই শিক্ষা নেবে তো? যদি এই শিক্ষা জনমানসে অভিষিক্ত হয়, তবে জনকল্যাণভিত্তিক অর্থনৈতিক বিন্যাস চালু করা সম্ভব হবে।
প্রচলিত উদার বাজার ব্যবস্থায় বাংলাদেশ বিগত এক দশকে ধারাবাহিকভাবে উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। প্রকট ও ক্রমবর্ধমান বৈষম্য থাকা সত্ত্বেও বেশকিছু সামাজিক সূচকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করে বিশ্বপরিমণ্ডলে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। দারিদ্র্যের হার যথেষ্ট কমে এলেও দেশের অধিকাংশ মানুষ দরিদ্র অথবা স্বল্প আয়ে জীবন ধারণ করতে থাকেন। অথচ আমরা স্বাধীন হয়েছিলাম সবাই সাম্যে এগিয়ে যাব বলে। এমন পরিস্থিতিতে করেনাভাইরাস দেশের অধিকাংশ মানুষের অর্থনৈতিক নাজুকতাকে সামনে নিয়ে এসেছে এবং একই সঙ্গে দিন বদলের সুযোগও উন্মোচন করেছে আমি মনে করি। উন্নত বিভিন্ন দেশেও বৈষম্যের শিকার অসংখ্য মানুষের বিশেষ অসহায়ত্ব উন্মোচিত হয়েছে। যেমন বাসস্থান সমস্যা ও আয়-সংকটের কারণে কাজ করতে হয় বলে যুক্তরাষ্ট্রের দরিদ্র মানুষ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে পারছে না। ফলে তারা মোট জনসংখ্যায় তাদের অনুপাতের তুলনায় অনেক বেশি আক্রান্ত হচ্ছে, মৃত্যুবরণ করছে। অন্যদিকে যারা বৈষম্যের ওপারে অর্থাৎ যাদের রয়েছে বিত্তবৈভব এবং সব রকমের সুযোগ-সুবিধা, তারা অধিক কার্যকরভাবে করোনা থেকে দূরে থাকছে; তাই আক্রান্ত হচ্ছে তুলনামূলক অনেক কম।
বাংলাদেশে মানবকেন্দ্রিক, জনকল্যাণমূলক উন্নয়নের দার্শনিক ভিত্তি নীতি-পরিকল্পনায় রয়েছে। স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সংবলিত লক্ষ্যে বলা আছে- দেশে বৈষম্যহীন সমাজ গড়ে তোলা হবে এবং প্রত্যেকের মানবাধিকার ও মানব মর্যাদা নিশ্চিত করা হবে। আওয়ামী লীগের ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল উদার গণতান্ত্রিক কল্যাণ রাষ্ট্র নির্মাণের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়। এ ছাড়া বর্তমানে বাস্তবায়নাধীন টেকসই উন্নয়ন কর্মসূচিও এই মৌলিক বিষয়গুলো ধারণ করে। কভিড-১৯ এর ধাক্কায় যদি দেশের মানুষের মানসে মানবতার সুর প্রোথিত হয়, তাহলে উপর্যুক্ত উন্নয়ন দর্শন সবার আগ্রহ ও অংশগ্রহণে বাস্তবায়িত হওয়ার কথা। এর জন্য পথ পরিক্রমা নির্ধারণ ও বাস্তবায়নের পক্ষে উল্লিখিত দ্বিতীয় ও তৃতীয় অঙ্গীকারভিত্তি এসেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে এবং প্রথমটি এসেছে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙালির সবচেয়ে বড় গৌরব সফল মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে। এর চেয়ে শক্তিশালী প্রেরণা আর কী হতে পারে?
আয়, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, বিনিয়োগ এবং সংশ্নিষ্ট অন্যান্য বিষয় অবশ্যই মানবকেন্দ্রিক জনকল্যাণধর্মী উন্নয়নে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় থাকবে। তবে কিছু বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে এগুলোর বিন্যাস করতে হবে। যেমন- শুধু সংখ্যা বা অনুপাত নয় বরং মূলত ব্যক্তিমানুষের গুরুত্ব; সবার ন্যায্যভিত্তিক অন্তর্ভুক্তি; যাদের ঘাটতি রয়েছে তাদের সবার মানবাধিকার ও মানব মর্যাদা প্রতিষ্ঠা; সবার জন্য আইনের শাসন নিশ্চিতকরণ; মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও স্বাস্থ্যসেবার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের সক্ষমতা সৃষ্টি বা বৃদ্ধি, উপযুক্ত অর্থায়নে তাদের অভিগম্যতা নিশ্চিতকরণ; সামাজিক সাম্য; দারিদ্রপীড়িত বিশেষ বিশেষ গোষ্ঠী যেমন, প্রতিবন্ধী, দলিতের বিশেষ বিশেষ চাহিদা মেটানো; পরিবার থেকে বিভিন্ন স্তরে সামাজিক পুঁজি গঠন; জনমুখী ও সেবাধর্মী জনপ্রশাসন; জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলা ও পরিবেশ সংরক্ষণ।
আগেই বলেছি- আমি মনে করি কভিড-১৯ উত্তরকালে মানবকেন্দ্রিক কল্যাণধর্মী উন্নয়নের পথ রচনা ও অনুসরণ করার একটি সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেহেতু এই পথের দার্শনিক ভিত রচনায় দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছেন, তা বাস্তবায়নেও তিনি বলিষ্ঠ ভূমিকা গ্রহণ করবেন বলে আশা করতে চাই। অন্যথায় দেশের উন্নয়নে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতিফলন, ২০০৮ সালের আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অঙ্গীকারের বাস্তবায়ন এবং টেকসই উন্নয়ন অধরা থেকে যাবে। বর্তমানে প্রচলিত বৈষম্যবর্ধক, অস্থিরতাগর্ভা উন্নয়ন ধারা চলতে থাকবে।
অর্থনীতিবিদ
Source: