কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ (দৈনিক সমকাল, ৩০ এপ্রিল ২০১৭)
বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত বা এলডিসি (লিস্ট ডেভেলপড কান্ট্রি) তালিকা থেকে উত্তরণ বা গ্র্যাজুয়েশনের জন্য আবেদন করেছে বা করতে যাচ্ছে- এমন একটি খবর কিছুদিন আগে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দেখেছিলাম। আমি মনে করি, এটা সঠিক উদ্যোগ। বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থায় স্বল্পোন্নত দেশের তকমা অগৌরবের। এটা ঝেড়ে ফেলাই শ্রেয়। স্বল্পোন্নত তালিকায় যেসব দেশ রয়েছে সেগুলোর বেশিরভাগের তুলনায় বাংলাদেশ অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রযুক্তি, পরিবেশ ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন দিক থেকে এগিয়ে। এলডিসি দেশগুলোর বিভিন্ন সম্মেলনে গেলেও বাংলাদেশের এগিয়ে থাকার বিষয়টি স্পষ্ট বোঝা যায়। বছর দুয়েক আগে ইউরোপে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর একটি সেমিনারে গিয়ে দেখেছিলাম, সেখানে যেসব বিষয়ে অগ্রগতির জন্য আলোচনা করা হচ্ছে, তার বেশিরভাগই বাংলাদেশ বেশ আগে অর্জন করে ফেলেছে।
আমরা জানি, জাতিসংঘের অধীনে স্বল্পোন্নত দেশের ধারণা দানা বাঁধে ষাটের দশকের শেষ দিকে। প্রতি ১০ বছর পরপর এই দেশগুলোর শীর্ষ সম্মেলন হয়ে থাকে। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ ১৯৮১ সালে প্রথম ফ্রান্সের প্যারিসে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে যোগ দেয়। ২০১১ সালে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত সম্মেলনেই লক্ষ্য স্থির করা হয়েছিল যে, ২০২২ সালে পরবর্তী সম্মেলনের আগেই বাংলাদেশ এই তালিকা থেকে বের হয়ে আসার প্রচেষ্টা চালাবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে আমার সুযোগ হয়েছিল ওই সম্মেলনে যোগ দেওয়ার। আমরা দেখতে পাই, স্বল্পোন্নত দেশের তালিকায় বর্তমানে যে ৪৮টি দেশ রয়েছে, তার ৩৪টিই আফ্রিকার দরিদ্র দেশ। এশিয়ার রয়েছে ৯টি। বাংলাদেশ ছাড়া বাকি দেশগুলো হচ্ছে- আফগানিস্তান, নেপাল, ভুটান, মিয়ানমার, লাওস, কম্বোডিয়া, পূর্ব তিমুর ও ইয়েমেন। এশিয়ার একটি দেশ মালদ্বীপ ২০১১ সালেই এই তালিকা থেকে উত্তরণে সক্ষম হয়েছে। নেপাল ও ভুটান ২০১৫ সালে জাতিসংঘের কমিটি অব ডেভেলপমেন্ট পলিসির পর্যালোচনায় স্বল্পোন্নত দেশের পর্যায় থেকে উত্তরণের শর্তপূরণের স্বীকৃতি পায়। ২০১৮ সালের পর্যালোচনায়ও যদি এই স্বীকৃতি বজায় থাকে তাহলে এই দুটি দেশ ২০২১ সাল নাগাদ মধ্যম আয়ের দেশের কাতারে উন্নীত হবে।
প্রসঙ্গত, প্রতি তিন বছর পরপর দেশগুলোর অবস্থান পর্যালোচনা হয়। একবার উত্তরণের আবেদন করলে পরপর দুই দফা পর্যালোচনায় যদি একটি দেশ শর্তপূরণে স্বীকৃতি পায় তবেই দেশটি বছর তিনেকের মধ্যে স্বল্পোন্নত পর্যায় থেকে বেরিয়ে আসবে। বাংলাদেশের অবস্থান ২০১৮ সালে পর্যালোচনা হবে বলে আশা রাখি এবং যদি বাংলাদেশ শর্তপূরণের স্বীকৃতি পায় তাহলে ২০২১ সালে আবার পর্যালোচনা হবে এবং তখন এই স্বীকৃতি অব্যহত থাকলে ২০২৪ সাল নাগাদ স্বল্পোন্নত দেশগুলোর তালিকা থেকে বের হতে পারবে।
উল্লেখ করা প্রয়োজন, এলডিসি তালিকা থেকে উত্তরণের জন্য তিনটি সূচক রয়েছে। একটি হচ্ছে অর্থনৈতিক ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণ। কৃষি উৎপাদন, পণ্য ও সেবা রফতানি খাতে অস্থিতিশীলতা, নন-ট্রাডিশনাল তৎপরতার অর্থনৈতিক গুরুত্ব, শিল্প রফতানির ক্ষেত্রে মনোযোগ, অর্থনৈতিকভাবে ক্ষুদ্র উদ্যোগের সীমাবদ্ধতা এবং জনসংখ্যার কত শতাংশ প্রাকৃতিক দুর্যোগে উদ্বাস্তু হয়-এগুলোর ওপর ভিত্তি করেই অর্থনৈতিক ঝুঁকির মাত্রা নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। কোনো দেশের অর্থনৈতিক ঝুঁকি যদি একশ’ ভাগের মধ্যে ৩২ ভাগের নিচে থাকে, তাহলে সেই দেশকে অর্থনৈতিক ঝুঁকিমুক্ত মনে করা হয়। প্রাপ্ত তথ্যমতে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক ঝুঁকি এখন ৩২-এর অনেক নিচে, ২৫ শতাংশের মতো। দ্বিতীয় সূচক হচ্ছে মানব সক্ষমতা। কোন দেশের মানব সক্ষমতা কতটুকু, সেটা ওই দেশের পুষ্টি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও প্রজনন সম্পর্কিত সূচকের ওপর নির্ভর করে। এলডিসি থেকে উত্তরণের জন্য মানব সক্ষমতা ৬৬ ভাগ হতে হয়। বাংলাদেশ ইতিমধ্যে প্রায় ৭০ ভাগ অর্জন করেছে।
বাংলাদেশ এখনও পিছিয়ে রয়েছে উত্তরণের তৃতীয় সূচকটিতে। ২০১৫ সালের মাপকাঠি অনুযায়ী কোনো দেশের গড় জাতীয় আয় বা জিএনআই যদি ১২৪২ ডলার হয়, তাহলে দেশটি উত্তরণের সক্ষমতা অর্জন করেছে বলে ধরে নেওয়া হয়। বাংলাদেশের বর্তমান জিএনআই ১১৫৬ ডলার। আমি মনে করি, ২০১৮ সালে পরবর্তী পর্যালোচনার সময় আসতে আসতে বাংলাদেশ এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করে ফেলবে।
অবশ্য বাংলাদেশ ইতিমধ্যে উত্তরণের সক্ষমতা অর্জন করে ফেলেছে। কারণ তিনটি সূচকের মধ্যে যে কোনো দুটিতে সক্ষম হলেই একটি দেশের এলডিসি তালিকা থেকে বের হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে। বাংলাদেশ ইতিমধ্যে দুটি সূচকে সক্ষমতা অর্জন করে ফেলেছে। আমি আশাবাদী, তৃতীয় সূচকেও পরবর্তী পর্যালোচনার আগে সক্ষমতা অর্জন করবে এবং তিন সূচকেই পূর্ণ নম্বর নিয়ে গ্র্যাজুয়েশনের পথে এগিয়ে যাবে । এমনকি ২০১৮ সালের পর্যালোচনায় উতরে যাওয়ার পর ২০২১ সালে উৎরানো নিশ্চিত করে বাংলাদেশ চাইলে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সময় নাও নিতে পারে। স্বেচ্ছায় ২০২১ সালেই এই তালিকা থেকে বের হয়ে আসতে পারে। অবশ্য যে কোনো দেশই যে কোনো সময় স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করতে পারে। কিন্তু জাতিসংঘ নির্ধারিত মান উত্তরণ করেই বের হওয়া হয়ত ভালো। তাই বাংলাদেশ ২০২১ সালের মূল্যায়ন শেষে বের হয়ে আসতে পারে। আরো তিন বছর গ্রেস পিরিয়ড স্বল্পোন্নত তকমা বহন না করার সিদ্ধান্ত নেয়া যেতে পারে।
২০২৪ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করবে বা আগেই বের হয়ে আসবে সে সিদ্ধান্ত বাস্তবতার আলোকে বাংলাদেশকে নিতে হবে।
এটা ঠিক, এলডিসি তালিকায় থাকলে আন্তর্জাতিক পরিসরে কিছু সুবিধা ও সহায়তা পাওয়া যায়। এর একটি হচ্ছে, বিশ্ববাজারে জিএসপি সুবিধা পাওয়া। কিন্তু আমরা দেখছি, বাংলাদেশ সব দেশে এই সুবিধা পাচ্ছে না। সহজতর শর্তে ঋণও পাওয়া যায়। কিন্তু আমরা দেখছি, পদ্মা সেতুর মতো প্রকল্প বাংলাদেশ নিজ অর্থায়নে করে ফেলতে সক্ষম হচ্ছে। তাহলে আর ঋণের সুবিধার জন্য অগৌরবময় একটি তকমা বয়ে বেড়ানোর প্রয়োজন কী? মেধাস্বত্ব অধিকারের ক্ষেত্রে যে সুবিধা এলডিসি দেশগুলো পেয়ে থাকে, তা বাংলাদেশ বাইরে থেকেও অর্জন করতে পারবে।
একটি এলডিসি তার প্রাপ্য সুযোগ কতটা পাচ্ছে বা পেতে পারছে, সেটাও ভেবে দেখার প্রয়োজন রয়েছে। বিশ্ববাজারে এলডিসি দেশগুলোর শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার নিয়ে অনেক কথাবার্তা হয়েছে; কিন্তু অনেকাংশে সেইসব দেশ পাচ্ছে না। বিভিন্ন সময়ে অঙ্গীকারও করা হয়েছিল, উন্নত দেশগুলোর জাতীয় আয়ের ০.১৫ শতাংশ এলডিসিগুলোকে অনুদান হিসেবে দেওয়া হবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, গড়ে তা ০.০৯ শতাংশের বেশি হয়নি। আর কারও অনুদানের জন্য বাংলাদেশ বসে থাকবে কেন? উন্নয়নশীল অনেক দেশই সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে না পারলেও বাংলাদেশ সেটা ভালোভাবেই পেরেছে। কিছু বিষয়ে সাফল্যের জন্য বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে। মাতৃ ও শিশু মৃত্যুহার কমানোর জন্য আমাদের প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ পুরস্কার পেয়েছেন ২০১০ সালে। এলডিসিভুক্ত দেশগুলোর দাবি ছিল, উন্নত বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতের ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর কাছে এই দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য অর্থ ও প্রযুক্তি হস্তান্তর করবে। এ ক্ষেত্রে খুব উৎসাহব্যঞ্জক অগ্রগতি নেই। বরং বাংলাদেশ নিজ উদ্যোগে এই ক্ষেত্রে অনেক অগ্রগতি অর্জন করেছে।
আমি মনে করি, এলডিসি থেকে উত্তরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত থাকুক। কিন্তু শুধু সেই কারণে নয়; বরং বাংলাদেশকে আরও এগিয়ে নেওয়ার স্বার্থেই অর্থনৈতিক সক্ষমতা ও স্থিতিশীলতা অর্জনের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকুক। এ ক্ষেত্রে রফতানি বাণিজ্যের সম্প্রসারণ করতে হবে এবং নতুন নতুন রফতানিযোগ্য পণ্যের উৎপাদন বাড়াতে হবে। পোশাক শিল্পের পর এ ক্ষেত্রে সম্ভাবনাময় শিল্পগুলো হচ্ছে চামড়া, ওষুধ এবং বাংলাদেশের শ্রমবাজারকে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে কাজে লাগানো। আমি মনে করি, পাট আমাদের আরেকটি বড় রফতানি খাত হয়ে উঠতে পারে। মাঝে কয়েক দশকের মন্দার পর বিশ্বব্যাপীই প্রাকৃতিক তন্তুর চাহিদা বেড়েছে। সরকার এই খাতে যথেষ্ট মনোযোগী ও উদ্যোগী হয়েছে। বেসরকারি পক্ষগুলোকেও এর সম্ভাবনা উপলব্ধি করতে হবে।
অভ্যন্তরীণ অবকাঠামোও উন্নত দেশ হওয়ার পথে একটি বড় মাইলফলক। বিশেষ করে জ্বালানি খাত। বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন গত কয়েক বছরে অনেক বেড়েছে। একই সঙ্গে চাহিদাও বাড়ছে। বাংলাদেশ যে অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, বিদ্যুতের চাহিদা ও উৎপাদন বৃদ্ধি তার একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক। আমরা জানি, ইতিমধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর জন্য সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। এগুলো সময়মতো সম্পন্ন করতে হবে। সেই চ্যালেঞ্জ নেওয়ার সক্ষমতা বাংলাদেশ ইতিমধ্যে অর্জন করেছে। এখন চাই দীর্ঘসূত্রতা পরিহার।
বিনিয়োগও আরও বাড়াতে হবে। অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক নানা প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও গত কয়েক বছরে বিনিয়োগের গতি থেমে নেই; বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়ছেই যদিও অনুপাত তেমন বাড়েনি। এ ক্ষেত্রে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপে আরও জোর দেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। বর্তমান সরকারের আমলে গ্রামীণ অর্থনীতিতে জোয়ার এসেছে। এটিকে টেকসইভাবে এগিয়ে নিতে হলে প্রাতিষ্ঠানিক নীতিগত সমর্থনে এবং অর্থায়ন দ্বারা সহায়তা দিতে হবে।
তরুণ প্রজন্মকে সঠিকভাবে দক্ষ করে তুলতে হবে এবং তাদেরকে যথাযথভাবে কাজে নিয়োজিত করতে হবে। টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে তরুণ প্রজন্মের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বস্তুত একটি স্বল্পোন্নত দেশের তকমা ঝেড়ে ফেলে উন্নয়নশীল এবং এক পর্যায়ে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হলে সর্বস্তরে মানবসক্ষমতা বৃদ্ধির বিকল্প নেই। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে মূলধারায় শামিল করার বিকল্প নেই। প্রয়োজনীয় অবকাঠামো গড়ে তোলাতেও দ্বিধা করা যাবে না। এজন্য অবশ্য উন্নয়ন প্রশাসনকে ঢেলে সাজাতে হবে। উন্নয়ন বাজেট বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার করতে হবে। কমাতে হবে দুর্নীতি ও অপচয়। আমরা জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে দেখি। এই প্রপঞ্চ মোকাবেলায় সবাইকে সচেতন ও সক্রিয় হতে হবে। অন্যথায় আমাদের সব অর্জন ম্লান হয়ে যেতে পারে। একই সঙ্গে ‘ধান্দাবাজি’ বা প্রভাব খাটিয়ে ব্যক্তি বা গোষ্ঠী বিশেষের সামষ্টিক সম্পদ দখলের প্রবণতা নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। এসবই আসলে এককথায় বলা যায় সুশাসন।
বাংলাদেশ উন্নত হচ্ছে, এ ব্যাপারে সন্দেহ নেই। এখন প্রয়োজন এই উন্নয়নকে আরও মানবকেন্দ্রিক করে তোলা,সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করা এবং প্রত্যেক নাগরিকের ন্যায্য প্রাপ্য নিশ্চিত করা। দেশের সব নাগরিক সমান মর্যাদা ও ন্যায্য সুযোগ পাবে।বস্তুত এটাই ছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে সেটাই প্রত্যাশা করেছিলাম আমরা। পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন থেকে আমরা রাষ্ট্রীয় নীতিকাঠামোর আঙ্গিকে এ ব্যাপারে কাজ করছি। এ ক্ষেত্রে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। যাতে করে প্রত্যেকের মানবমর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হয়।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমুন্নত এবং উন্নত বাংলাদেশ গড়ার দায়িত্ব কেবল সরকারের একার নয়। তবে সরকারের একার পক্ষে সম্ভবও নয় যদিও সরকারের ভূমিকা অগ্রগণ্য। সকল মহলের অঙ্গীকারাবদ্ধ প্রয়াসেই উল্লিখিত আঙ্গিকে দেশের কাঙ্খিত টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। স্বল্পোন্নত দেশের তকমা দ্রুত ঝেড়ে ফেলতে পারব তো বটেই।
লেখকঃ অর্থনীতিবিদ
Source: www.bangla.samakal.net/2017/04/30/289027