(দৈনিক সমকাল, মে ১৯, ২০২২) দেশের আসন্ন ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট নিয়ে আলোচনা চলছে এবং চলবে। ইতোমধ্যে আগামী অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি-এডিপি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) অনুমোদন দিয়েছে। ৯ জুন জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপনের দিন ধার্য করা হয়েছে। বাজেট সামনে নিয়ে অনেকেই নানা বিষয়ে আলোচনা করছেন। তবে আমি কয়েকটি বিষয়ে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিতে চাই। এগুলোও অবশ্য আলোচিত হচ্ছে।
বলার অপেক্ষা রাখে না, এবারের পরিস্থিতি অন্যবারের চেয়ে ব্যাপকভাবে ভিন্ন। বাজেটে সংশ্নিষ্ট বছরের বাস্তবতা বিশ্নেষণ করে তার পরিপ্রেক্ষিতে নীতি গ্রহণ এবং বরাদ্দ দেওয়া হয়। আর সেটা করা উচিত দেশের দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য ও পরিকল্পনার আলোকে। আমাদের দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য হলো, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করে টেকসই ও সুষম উন্নয়ন। এর সঙ্গে ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার বিষয়ও রয়েছে।
বলছিলাম, এবারের বাস্তবতা ভিন্ন। এই বাস্তবতা কেবল বাংলাদেশে নয়, বরং সারাবিশ্বে। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে আমরা দেখছি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতির হার এখন ৮ দশমিক ৩ শতাংশ। ইউরোজোনে মূল্যস্টম্ফীতির হার ৭ দশমিক ৬ শতাংশ। আগে যেখানে তাদের মূল্যস্ফীতি সাধারণত ১ বা আড়াই শতাংশের মতো বা কম থাকত। বিশ্বব্যাপী বর্তমান সংকটের মোটা দাগে দুটি কারণ রয়েছে। একটি হলো, কভিড-১৯-এর অভিঘাত, আরেকটি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। ফলে আন্তর্জাতিক অর্থনীতি উত্তাল। জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে, সরবরাহ ও পরিবহনে সংকট দেখা দিচ্ছে। বাংলাদেশও তার বাইরে নয়। বিশ্বায়নের যুগে বিশ্ব-অর্থনীতির গতি-প্রকৃতির প্রভাব বাংলাদেশে পড়াটাই স্বাভাবিক।
বাংলাদেশে শঙ্কার কিছু বিষয় রয়েছে। একদিকে আমদানি বাড়ছে, অন্যদিকে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ের প্রবাহ শ্নথ হওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। আন্তর্জাতিকভাবে জ্বালানি তেলের বাজার ঊর্ধ্বমুখী, যেটি আমাদের আমদানি করতে হয়। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দুই গম রপ্তানিকারক দেশ ইউক্রেন ও রাশিয়া। যুদ্ধের কারণে এ দুই দেশ থেকে রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। নতুন করে আমাদের কানাডা থেকে গম আমদানি করতে হলে আমদানি ব্যয় স্বাভাবিকভাবেই বাড়বে। অন্যান্য আমদানির ক্ষেত্রেও ব্যয় বাড়ছে। অভ্যন্তরীণভাবে সাম্প্রতিক বন্যার বিরূপ প্রভাব পড়েছে ধানের উৎপাদনের ওপর। তা ছাড়া কারণ থাক বা না থাক, কিছু ব্যবসায়ী কারসাজি করে দ্রব্যের মূল্য বাড়িয়ে দেয়। বর্তমানে আমরা যেমনটা দেখছি, নিত্যপ্রয়োজনীয় অনেক পণ্যের দাম সংগত ও অসংগত কারণে ঊর্ধ্বমুখী। তারপরও বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় আমাদের মূল্যস্টম্ফীতি কমই বলা চলে; ৬ দশমিক ২২ শতাংশ। তবে ওপরে উল্লিখিত বিভিন্ন ও অন্যান্য চ্যালেঞ্জের কারণে তা এখানেই স্থির না থাকার কথা। অনেকেই বলেছেন এবং আমিও মনে করি, মূল্যস্টম্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখা আগামী বছরে বাংলাদেশের সামনে একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
বাজেটে মূল্যস্টম্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রচেষ্টার পাশাপাশি কভিড থেকে উত্তরণ এবং পরবর্তী অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় উৎপাদন ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে জোর দিতে হবে। কভিডের কারণে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ছেদ পড়ে, যদিও বাংলাদেশে পৃথিবীর যে কয়েকটি দেশে ৬-৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে সেগুলোর অন্যতম। সে ধাক্কা আমরা ভালোভাবেই সামাল দিতে পেরেছি। আগামী বছরে আমাদের দুটি কাজ একসঙ্গে করতে হবে। তা হলো মূল্যস্টম্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং প্রবৃদ্ধির ধারা সুসংহত ও ত্বরান্বিত করা। পাশাপাশি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সুষম উন্নয়নের মাধ্যমে যারা পিছিয়ে আছে তাদের ন্যায্যভাবে এগিয়ে নেওয়া। এ ক্ষেত্রে বেকারদের, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের কর্মহীনদের কর্মসংস্থানের বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশে কর্মসংস্থানের ৮৫ ভাগই অনানুষ্ঠানিক খাতে হয়ে থাকে। আনুষ্ঠানিক খাত তথা সরকারি ও করপোরেট খাতগুলো বাকি ১৫ শতাংশ। অনানুষ্ঠানিক খাতের মধ্যে রয়েছে কৃষি এবং কুটির ও অতিক্ষুদ্র ব্যবসা-বাণিজ্য।
আমি মনে করি, এবার বাজেটে অনানুষ্ঠানিক খাতে বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন। আমরা যখন সবাইকে নিয়ে উন্নয়নের কথা বলছি, সে জন্য কৃষিতে তো বটেই, অনানুষ্ঠানিক অকৃষি খাতগুলোর দিকেও নজর দিতে হবে। কৃষিতে সরকার গুরুত্ব সহকারে সহায়তা করছে। তারপরও আমি মনে করি, কৃষিতে আরও জোর দেওয়ার বিষয় বিবেচনায় রাখা জরুরি। তা ছাড়া কুটির ও অতি ক্ষুদ্র ছাড়াও ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প এবং ব্যবসায়গুলোকে সহায়তা করা জরুরি। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প অনেক ক্ষেত্রে শহরকেন্দ্রিক, গ্রামেও কিছু রয়েছে। এদের সংখ্যা বাংলাদেশে ৮০-৯০ হাজার। ব্যাংকের মাধ্যমে এদের কাছে প্রণোদনা পৌঁছানো সম্ভব। আর গ্রামাঞ্চলে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা যে অতি ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প এবং ব্যবসায় রয়েছে এগুলোর সংখ্যা এক কোটিরও বেশি। এগুলোতে আড়াই থেকে তিন কোটি মানুষ সম্পৃক্ত। অনেকে সার্বক্ষণিক কাজ করেন; আবার অনেকে কৃষির পাশাপাশি এসব কাজ করে থাকেন।
প্রায় দুই বছর আগে ২০২০ সালের এপ্রিলে কভিডের কারণে যখন প্রধানমন্ত্রী প্রণোদনা ঘোষণা করেন তখন এসব খাত অন্তর্ভুক্ত ছিল। কিন্তু কুটির ও অতি ক্ষুদ্র ব্যবসায় ও শিল্পে যারা রয়েছে তারা যেমন ব্যাংকে যেতে পারে না, তেমনি ব্যাংকও তাদের ঋণ দেওয়া লাভজনক মনে করে না। কাজেই ব্যাংকের মাধ্যমে ওই প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে এগুলো তেমন কিছু অর্থ পায়নি। প্রধানমন্ত্রী পরে এদের জন্য এই প্যাকেজের বাইরে প্রথম দুই হাজার কোটি টাকা এবং এর পর দুইবারে দেড় হাজার কোটি টাকা করে মোট পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেন। যেসব প্রতিষ্ঠান (যেমন পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক, পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন, দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশন এবং অন্যান্য) অনানুষ্ঠানিক খাতগুলো নিয়ে কাজ করে সেগুলোর মাধ্যমে এই প্রণোদনা বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়। পিকেএসএফ খুব ভালোভাবে দায়িত্ব পালন করেছে।
এবারের বাজেটে এ রকম প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কুটির ও অতি ক্ষুদ্র শিল্প এবং ব্যবসায়ের জন্য ২০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা উচিত বলে মনে করি। অতি ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প এবং ব্যবসায়ের দিকে দৃষ্টি দিলে কভিডের কারণে যেসব পরিবারের আয় কমেছে; যাদের পারিবারিক অর্থনীতি দুর্বল হয়েছে তাদের অবস্থায় ইতিবাচক পরিবর্তন হবে। অতি ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প, ব্যবসায়, ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প যত বাড়বে সাধারণ মানুষের কর্মসংস্থান বাড়বে এবং প্রবৃদ্ধিতে এর প্রতিফলন দেখা যাবে। যুক্তরাষ্ট্র, জাপানসহ অনেক দেশে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প-বাণিজ্যগুলোয় যাদের অর্থনীতি দুর্বল হয়েছে তাদের অবস্থায় ইতিবাচক পরিবর্তন হবে। যুক্তরাষ্ট্র, জাপানসহ অনেক দেশে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প-বাণিজ্যগুলো তাদের অর্থনীতিতে ব্যাপক অংশজুড়ে রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে জাতীয় উৎপাদের (জিডিপি) ব্যাপক অংশ আসে। বাংলাদেশে কুটির, অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ও ব্যবসায় জোর দেওয়া মানে এই নয় যে, বড় শিল্প লাগবে না। কিন্তু কভিড থেকে উত্তরণ ও ব্যাপক কর্মস্থানের লক্ষ্যে কুটির ও অতি ক্ষুদ্র অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বিশেষ নজরের দাবি রাখে।
এবারের বাজেটের আকার সাত লাখ কোটি টাকার মতো হবে। তবে বড় বাজেটে ঘাটতি বেশি হতে পারে। সাধারণত বাজেটে ৫ শতাংশ ঘাটতি সহনীয় ধরা হয়। কিন্তু বিরাজমান অবস্থায় তা বেশি হতে পারে। ৬ বা ৭ শতাংশও গ্রহণযোগ্য বলে আমি মনে করি।
বাজেটের ঘাটতি মেটাতে হয় অভ্যন্তরীণ ঋণ কিংবা বৈদেশিক ঋণ দিয়ে। ঘাটতি কমাতে হলে সরকারের হাতে সম্পদ বাড়ানো প্রয়োজন। বাংলাদেশের কর-জিডিপি অনুপাত মাত্র ৯ শতাংশ। বিভিন্ন কারণে তা বাড়ে না বা বাড়ানো যায় না। আর কারণগুলোও অজানা নয়। যাই হোক, সম্পদ বাড়ানোর চেষ্টার পাশাপাশি আমি মনে করি, প্রাপ্ত সম্পদের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে অপচয় রোধ এবং অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেমন, সম্প্রতি সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিদেশ সফর ‘সীমিত’ করা হয়েছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, সরকারি নিষেধাজ্ঞার পরও তা কমার লক্ষণ নেই। একই সঙ্গে দুর্নীতি এবং বিদেশে অর্থ পাচার কমিয়ে আনতে পারলে সরকারের কাছে প্রাপ্ত সম্পদের উচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
কর্মসংস্থান বৃদ্ধির লক্ষ্যে মানব সক্ষমতা বাড়ানোর বিষয়ে জোর দিতে হবে। মানুষের সক্ষমতা বাড়বে শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও স্বাস্থ্যসেবার মাধ্যমে। কভিডকালে শিক্ষা খাতেও যে ব্যাপক বিরূপ প্রভাব পড়েছে, তা স্পষ্ট। বিশেষ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকার সময় গ্রামাঞ্চলে অনলাইনে পড়াশোনা চালিয়ে নিতে পারেনি অধিকাংশ শিক্ষার্থী। এখন সরকার চেষ্টা করছে কীভাবে শিক্ষায় ঘাটতি মিটিয়ে শিক্ষার্থীরা আবার কার্যকর শিক্ষা গ্রহণে ব্রতী হতে পারে। তা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সেই লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে, পরিকল্পনা নিলেই হবে না; তার যথাযথ বাস্তবায়ন জরুরি। অবশ্যই আমাদের শিক্ষা পুনরুদ্ধার ও পুনর্জাগরণ নিশ্চিত করতে হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাগুলো বাস্তবায়ন করতে হলে তার জন্য যোগ্য জনবল তৈরি করা জরুরি।
একই সঙ্গে স্বাস্থ্য খাতও যথাযথ গুরুত্বের দাবি রাখে। করোনাকালে প্রথমদিকে ধাক্কা খেলেও স্বাস্থ্যসেবায় আমরা দ্রুতই সংকট কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছি। করোনা মোকাবিলায় টিকা নিশ্চিতেও বাংলাদেশ অনন্য। যেখানে বাংলাদেশে ৮০ শতাংশের বেশি মানুষের টিকা নিশ্চিত হয়েছে, আফ্রিকায় সার্বিকভাবে এখনও হয়তো ৩০ শতাংশ মানুষ টিকা পেয়েছে। অর্থনৈতিক সংকটে নিপতিত অসংখ্য মানুষকে সে অবস্থা মোকাবিলা করতে সরকারি-বেসরকারি ও ব্যক্তি পর্যায়ে সহায়তা ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে। তাদের পুনর্বাসন ও ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব হয়েছে। বলার অপেক্ষা রাখে না, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণেই করোনা মহামারি উদ্ভূত সংকট সামাল দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
আরও একটি কথা, স্বাস্থ্য খাতে দেশজুড়ে প্রায় ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। এগুলোকে কেন্দ্র করে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা চালুর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। এ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ চালু করতে সময় লাগবে। কিন্তু শুরু করলে পরেই তা এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে।
শুরুতেই আমদানি এবং রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ের কথা বলেছি। যেহেতু আমদানি বাড়ছে এবং রেমিট্যান্সের ধারা কিছুটা নিম্নমুখী, তাই চাপ পড়ছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ওপর। এটা সত্য যে, আমাদের বর্তমান ৪০ বিলিয়নের বেশি ডলারের রিজার্ভ স্বস্তিদায়ক। কিন্তু এখানে আত্মতুষ্টির সুযোগ নেই। আমদানি খরচ, বিশেষ করে বিলাসদ্রব্য ও অপ্রয়োজনীয় শৌখিন আমদানি নিয়ন্ত্রণ করে তা কমানোর প্রতি দৃষ্টি দিতে হবে। তা ছাড়া মেগা প্রকল্প যেগুলো চলছে সেগুলোর কাজ শেষ করার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যেসব প্রকল্প থেকে দ্রুত সুফল পাওয়া যাবে সেগুলোর দিকে নজর দিতে হবে। এটি খুবই উপযোগী প্রস্তাব। নতুন কোনো মেগা প্রকল্প গ্রহণে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
সর্বশেষ আমি আবারও টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে জোর দিতে চাই। সে পথে হাঁটার ব্যবস্থার প্রতিফলন বাজেটে ঘটবে বলে প্রত্যাশিত। অবশ্য যেসব চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করা হয়েছে এবং অন্যান্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে আমাদের লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ: অর্থনীতিবিদ ও পিকেএসএফের চেয়ারম্যান
News link: samakal.com/sahos/article/2205111990/টেকসই-ও-অন্তর্ভুক্তিমূলক-উন্নয়নের-প্রতিফলন-চাই