Top newspaper headlines the Dr. Kholiquzzaman’s opinion on mismanagement of banking sector.
BDNews24.com(2017-11-27): PKSF chief says Bangladesh seeing ‘bank grabbing’ like river, land grabbing
“Palli Karma-Sahayak Foundation or PKSF Chairman Qazi Kholiquzzaman Ahmad has said like land grabbing and river encroachment, ‘bank grabbing’ is now on in Bangladesh’s financial sector.”
He was speaking on the second day of a two-day annual banking conference organised by Bangladesh Institute of Bank Management or BIBM in Dhaka on Monday.
Kholiquzzaman, who teaches economics at Dhaka University, said, “Grabbing is under way in the banking sector in the country like the river and land encroachment, but no one is being brought to justice.”
“Such anomalies are prevalent in all strata of society which is widening the inequality and affecting society,” he said.
His comments came at a time when the recent takeover of several private commercial banks by an industrial group amid loan frauds at the state-owned banks is at the centre of discussions.
Asked for explanation of his comments at the programme, Kholiquzzaman told bdnews24.com: “By grabbing, I meant lootings by bankers like Abdul Hye Bachchu. Many other people and bankers like him are plundering bank money.”
Former Jatiya Party MP Bachchu had been the chairman of state-run BASIC Bank. He had to resign following an around Tk 45 billion loan scam in the bank.
After an initial investigation, the Anti-Corruption Commission said they had not found Bachchu’s involvement in the scam.
The ACC summoned him last Thursday after the High Court expressed ire at his name not being included in the case over the scam in August.
দৈনিক মানবজমিন (২৮ নভেম্বর ২০১৭): ‘নদী ও ভূমি দখলের মতো ব্যাংকিং খাতেও দখলদারিত্ব চলছে’
Source: http://www.mzamin.com/article.php?mzamin=93980
নদী দখলের সঙ্গে ব্যাংক দখলকে তুলনা করে পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেছেন, নদী ও ভূমি দখলের মতো দেশে ব্যাংক দখল চলছে। যার কোনো বিচার হচ্ছে না। এ কারণেই সমাজে অসমতা তৈরি হচ্ছে, বৈষম্য বাড়ছে। গতকাল রাজধানীর মিরপুরে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) অডিটোরিয়ামে দুই দিনব্যাপী বার্ষিক ব্যাংকিং সম্মেলন-২০১৭ এর শেষ দিনের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী। সেশনে সভাপতিত্ব করেন বিআইবিএমের মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী।
বক্তব্যের ব্যাখ্যায় খলীকুজ্জমান সাংবাদিকদের বলেন, দখলদারিত্ব বলতে আমি আব্দুল হাই বাচ্চুর মতো ব্যাংকারদের লুটপাটের বিষয়টি বোঝাতে চেয়েছি। এরকম আরো অনেক ব্যাংকার বা ব্যক্তি আছেন, যারা ব্যাংকের অর্থ লুটপাট করছে।
দ্বিতীয় দিনের সেশনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর ও বিআইবিএম-এর চেয়ার প্রফেসর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ। অবৈধ আর্থিক লেনদেনকে অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যাংকিংয়ের ‘বড় বাধা’ হিসেবে চিহ্নিত করে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদ বলেছেন, মোবাইল ও এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে অবৈধ লেনদেন এখন গভীর উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ প্রেক্ষিতে তিন হাজারের বেশি মোবাইল ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেও দেয়া হয়েছে। অবৈধ লেনদেনগুলোর বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গোয়েন্দা ইউনিট কাজ শুরু করেছে। মোবাইল ও এজেন্ট ব্যাংকিং অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যাংকিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও এখন তা গভীর উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ইব্রাহিম খালেদ বলেন, গত বছর মোবাইল কোম্পানিগুলো মোবাইল ব্যাংকিংয়ের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে আবেদন করে। কিন্তু বিটিআরসি কর্তৃপক্ষের অনুমোদন না থাকায় ওই আবেদনে সাড়া দেয়নি বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংক ফোন কোম্পানিগুলোর নিয়ন্ত্রক সংস্থা নয়। এ কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মোবাইল কোম্পানিগুলোর আবেদন প্রত্যাখ্যান ছাড়া কোনো বিকল্প ছিল না। অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতির জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তভাবে নিয়ন্ত্রণ করা বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্যতম দায়িত্ব।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী বলেন, আর্থিক অবকাঠামোতে দৃশ্যমান গতি আনতে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর্থিক স্থিতিশীলতা ও টেকসই উন্নয়নের দিকে দেশকে এগিয়ে নেয়া এর মূল উদ্দেশ্য। তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই আন্তঃব্যাংক লেনদেনে মোবাইল ব্যাংকিং যুক্ত হয়েছে। এর ফলে প্রান্তিক ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ও ব্যাংকিং সেবার আওতায় আসছে। মোবাইল ব্যাংকিংকে বাংলাদেশ ব্যাংক আরো গ্রাহকবান্ধব করতে চায়। এতে অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতিতে বড় পরিবর্তন আসবে। এ জন্য স্কুল ব্যাংকিং ছাড়াও আর্থিক খাতের বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংককে শতভাগ স্বয়ংক্রিয় করাই এখন প্রধান উদ্দেশ্য বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
প্রথম আলোঃ (২৮ নভেম্বর ২০১৭) ভূমি দখলের মতো ব্যাংকও দখল হচ্ছে
Source: http://www.prothom-alo.com/economy/article/1375291/ভূমি-দখলের-মতো-ব্যাংকও-দখল-হচ্ছে
পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও অর্থনীতিবিদ কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেছেন, ‘দেশে নদী দখল ও ভূমি দখলের মতো ব্যাংকিং খাতেও দখলদারি চলছে, যার কোনো বিচার হচ্ছে না। এ ধরনের ঘটনা সমাজের সর্বত্র বিরাজমান, এর প্রভাব পড়ছে সমাজব্যবস্থায়। দিনে দিনে সমাজে অসমতা তৈরি হচ্ছে, বৈষম্য বাড়ছে।’
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) বার্ষিক ব্যাংকিং সম্মেলনের শেষ দিনে গতকাল সোমবার একটি অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে এসব কথা বলেন কাজী খলীকুজ্জমান।
সাম্প্রতিক সময়ে বেসরকারি খাতের ইসলামী ব্যাংক ও সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকের মালিকানা এবং ব্যবস্থাপনায় হঠাৎ পরিবর্তন আসে। চট্টগ্রামভিত্তিক একটি শিল্প গ্রুপ ব্যাংক দুটির কর্তৃত্ব নেয়। ওই গ্রুপের হাতে বেসরকারি খাতের আরও বেশ কয়েকটি ব্যাংকের কর্তৃত্ব রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে যে ব্যবস্থায় ব্যাংকের মালিকানা ও ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন এসেছে, তাতে পুরো ব্যাংক খাতে অস্থিরতা ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এ প্রেক্ষাপটে গতকাল এমন মন্তব্য করেন খলীকুজ্জমান।
দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনের শেষ দিনে গতকাল উদ্বোধনী অধিবেশনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ। বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন। প্রবন্ধ উপস্থাপনায় খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেন, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অর্থ পাচার ও অবৈধ আর্থিক লেনদেন বৃদ্ধি এখন উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ড আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে এখন বড় বাধা হিসেবে কাজ করছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর ইব্রাহিম খালেদ আরও বলেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতির জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তভাবে নিয়ন্ত্রণ করা বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্যতম দায়িত্ব।
প্রধান অতিথি কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, বাংলাদেশে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা খুবই ব্যয়বহুল। এ মাধ্যমে অর্থ পাঠাতে এখন হাজারে ২০ টাকা খরচ হয়, প্রতিবেশী দেশ ভারতে এ খরচ ৫ টাকা। মোবাইল ব্যাংকিং সেবার ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশ বিকাশ ও ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের দখলে রয়েছে। এখানে যে একাধিপত্য (মনোপলি) চলছে, তা দিয়ে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব নয়। তিনি আরও বলেন, দরিদ্র লোকদের কিছু হাজার টাকা দান করলেই আর্থিক অন্তর্ভুক্তি হয় না। স্বাস্থ্য, শিক্ষায় দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের মাধ্যমে এই লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব।
ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী বলেন, ইতিমধ্যে আন্তব্যাংক লেনদেনে মোবাইল ব্যাংকিং যুক্ত হয়েছে। এর ফলে প্রান্তিক ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীও ব্যাংকিং সেবার আওতায় আসছে। মোবাইল ব্যাংকিংকে বাংলাদেশ ব্যাংক আরও গ্রাহকবান্ধব করতে চায়। এতে অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতিতে বড় পরিবর্তন আসবে। এ জন্য স্কুল ব্যাংকিং ছাড়াও আর্থিক খাতের বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
দুই দিনের এই সম্মেলনে ১০টি করে মোট ২০টি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। গতকাল উপস্থাপিত প্রবন্ধের বিষয়বস্তুর মধ্যে ছিল আর্থিক অন্তর্ভুক্তি, ব্যাংকিং খাতে নারীদের ভূমিকা, এসএমই ব্যাংকিংয়ে তথ্যপ্রযুক্তির ভূমিকা, বাংলাদেশে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের চ্যালেঞ্জ ইত্যাদি।
যুগান্তর (২৮ নভেম্বর, ২০১৭): শক্ত রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি দরকার টেকসই উন্নয়নে
Source: https://www.jugantor.com/news/2017/11/28/175374/শক্ত-রাজনৈতিক-প্রতিশ্রুতি-দরকার-টেকসই-উন্নয়নে
‘আমরা টেকসই উন্নয়নের কথা বলে থাকি। তবে এজন্য শক্ত রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি দরকার। এছাড়া সবাইকে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির মধ্য নিয়ে আসতে হবে।’ সোমবার রাজধানীর মিরপুরে বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) অডিটোরিয়ামে দু’দিনব্যাপী বার্ষিক ব্যাংকিং সম্মেলন-২০১৭ এর সমাপনী দিনের প্রথম সেশনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ এ কথা বলেন।
প্রথম সেশনে প্যানেল আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন বিআইবিএমের মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর চৌধুরী বলেন, আর্থিক অবকাঠামোতে দৃশ্যমান গতি আনতে কাজ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর্থিক স্থিতিশীলতা ও টেকসই উন্নয়নের দিকে দেশকে এগিয়ে নেয়া এর মূল উদ্দেশ্য।
তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই আন্তঃব্যাংক লেনদেনে মোবাইল ব্যাংকিং যুক্ত হয়েছে। ফলে প্রান্তিক ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ও ব্যাংকিং সেবার আওতায় আসছে। মোবাইল ব্যাংকিংকে বাংলাদেশ ব্যাংক আরও গ্রাহকবান্ধব করতে চায়। এতে অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতিতে বড় পরিবর্তন আসবে। এজন্য স্কুল ব্যাংকিং ছাড়াও আর্থিক খাতের বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংককে ‘ডিজিটালাইজড’ বা শতভাগ স্বয়ংক্রিয় করাই এখন প্রধান উদ্দেশ্য।
দ্বিতীয় দিনের এই সেশনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর ও বিআইবিএমের চেয়ার প্রফেসর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ। মূল প্রবন্ধে তিনি বলেন, অবৈধ লেনদেনগুলোর বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গোয়েন্দা ইউনিট কাজ শুরু করেছে। এ ধরনের অবৈধ লেনদেন অবশ্যই খুঁজে বের করতে হবে। কারণ অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যাংকিংয়ের বড় বাধা হচ্ছে এসব অবৈধ লেনদেন। মোবাইল ও এজেন্ট ব্যাংকিং অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যাংকিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও এখন তা গভীর উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অবৈধ আর্থিক লেনদেন অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যাংকিংয়ের বড় বাধা উল্লেখ করে তিনি বলেন, গত বছর মোবাইল কোম্পানিগুলো মোবাইল ব্যাংকিংয়ের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে অনুমতি চেয়ে আবেদন করে। কিন্তু বিটিআরসি কর্তৃপক্ষের আর্থিক লেনদেনের অনুমোদন না থাকায় এ আবেদনে সাড়া দেয়নি বাংলাদেশ ব্যাংক। কারণ বাংলাদেশ ব্যাংক ফোন কোম্পানিগুলোর নিয়ন্ত্রক সংস্থা নয়। যার কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মোবাইল কোম্পানিগুলোর আবেদন প্রত্যাখ্যান ছাড়া কোনো বিকল্প ছিল না। অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতির জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তভাবে নিয়ন্ত্রণ করা বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্যতম দায়িত্ব।
ইত্তেফাক (২৮ নভেম্বর, ২০১৭): নদী আর ভূমির মত ব্যাংকিং খাতেও চলছে দখলদারিত্ব
Source: http://www.ittefaq.com.bd/print-edition/first-page/2017/11/28/239525.html
নদী আর ভূমি দখলের মতো ব্যাংকিং খাতেও দখলদারিত্ব চলছে। এর প্রভাব পড়ছে সমাজ ব্যবস্থায়। দিনে দিনে বৈষম্য বাড়ছে। এছাড়া টেকসই উন্নয়নের জন্য শক্ত রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির ঘাটতি রয়েছে। গতকাল সোমবার রাজধানীর মিরপুরে বাংলাদেশ ইনিস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) অডিটোরিয়ামে দু’দিনব্যাপী বার্ষিক ব্যাংকিং সম্মেলন-২০১৭ এর সমাপনী দিনের প্রথম সেশনে প্যানেল আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান ড. কাজী খলিকুজ্জমান আহমদ। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী। সেশনে সভাপতিত্ব করেন বিআইবিএমের মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমদ চৌধূরী। সম্মেলনে চারটি প্লিনারি সেশনে ২০টি প্রবন্ধ উপস্থাপিত হয়। দেশী-বিদেশী বিশেষজ্ঞ, ব্যাংকার, গবেষক এবং শিক্ষার্থীরা এসব সেশনের আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
কাজী খলীকুজ্জমান বলেন, নদী আর ভূমি দখলের মতোই একের পর এক ব্যাংক দখল চলছে। যার কোনো বিচার হচ্ছেনা। তিনি বলেন, আমরা টেকসই উন্নয়নের কথা বলে থাকি। তবে এজন্য শক্ত রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির ঘাটতি রয়েছে। এছাড়া সবাইকে আর্থিক অর্ন্্তভূক্তির মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এস কে সুর চৌধুরী বলেন, আর্থিক অবকাঠামোতে দৃশ্যমান গতি আনতে কাজ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর্থিক স্থিতিশীলতা ও টেকসই উন্নয়নের দিকে দেশকে এগিয়ে নেওয়া এর মূল উদ্দেশ্য। দ্বিতীয় দিনের এই সেশনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর ও বিআইবিএমের চেয়ার প্রফেসর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ।
bdnews24.com(2017-11-27): নদী-ভূমি দখলের মতো ব্যাংক দখল হচ্ছে: খলীকুজ্জমান
Source: https://bangla.bdnews24.com/business/article1427066.bdnews
নদী ও ভূমি দখলের মতো বাংলাদেশের ব্যাংক খাতেও ‘দখলদারিত্ব’ চলছে বলে মন্তব্য করেছেন পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন চেয়ারম্যান কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ।
সোমবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) আয়োজিত দুদিনব্যাপী বার্ষিক ব্যাংকিং সম্মেলনের সমাপনী দিনের একটি অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এমন্তব্য করেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির শিক্ষক খলীকুজ্জমান বলেন,
“দেশে নদী দখল ও ভূমি দখলের মতো ব্যাংকিং খাতেও দখলদারিত্ব চলছে, যার কোনো বিচার হচ্ছে না। এ ধরনের ঘটনা সমাজের সর্বত্র বিরাজমান। এর প্রভাব পড়ছে সমাজ ব্যবস্থায়। দিনে দিনে সমাজে অসমতা তৈরি হচ্ছে, বৈষম্য বাড়ছে।”
বাংলাদেশে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর ঋণ কেলেঙ্কারির মধ্যে সম্প্রতি বিভিন্ন ব্যাংকে একটি শিল্প গ্রুপের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠাও আলোচনায় রয়েছে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্যের ব্যাখ্যা জানতে চাইলে খলীকুজ্জমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দখলদারিত্ব বলতে আমি আব্দুল হাই বাচ্চুর মতো ব্যাংকারদের লুটপাটের বিষয়টি বোঝাতে চেয়েছি। এরকম আরও অনেক ব্যাংকার বা ব্যক্তি আছেন, যারা ব্যাংকের অর্থ লুটপাট করছে।”
রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য শেখ আব্দুল হাই বাচ্চু; ঋণ কেলেঙ্কারিতে ব্যাংকটির ধুকতে থাকার মধ্যে চাপের মুখে তাকে পদত্যাগ করতে হয়।
বেসিক ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারির তদন্তে বাচ্চুর সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ার কথা শুরুতে জানিয়েছিল দুর্নীতি দমন কমিশন।
দুদকের ওই মামলায় গত অগাস্টে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ এক শুনানিতে বাচ্চুকে আসামি না করায় উষ্মা প্রকাশ করে; তখন দুদককে সতর্কও করা হয়।
এরপর সম্প্রতি দুদক ওই বিষয়ে তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাচ্চুকে তলব করে।